চবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার , ১২ অক্টোবর , ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১৯৮৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রায় দুই দশক এবং ছাত্রলীগ দেড় দশক ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই সময় অন্তত ২১টি হত্যাকাণ্ড ঘটলেও কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি।
আসন্ন ১৫ অক্টোবরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা সেই ইতিহাস কষে ভোটের হিসাব করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রদলের গায়ে অতীতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দাগ নেই—এ কারণেই তারা ‘রক্তপাতহীন নিরাপদ ক্যাম্পাসের’ প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাত্রদলপন্থি প্যানেলের দিকে ঝুঁকছেন।
প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “যারা অতীতে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে, তারা আবারও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচারের অঙ্গীকার করছি।”
অন্যদিকে শিবিরপন্থি ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি অভিযোগ করেন, “ক্যাম্পাসে আধিপত্যবাদের রাজনীতি করেছে ছাত্রলীগ। তাদের সময়েই আমাদের পাঁচজন ভাই শহীদ হয়েছেন।” একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখনো পোলিং এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ করেনি এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
চবি প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ চলাচল করতে পারবে না।
নির্বাচনের প্রধান কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “ব্যালটে ভোট হবে, কিন্তু গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনে। এতে সময় কম লাগবে এবং নিরাপত্তা বাড়বে।”
১৯৮৮ সালে শুরু হওয়া চবি ছাত্ররাজনীতির সহিংস অধ্যায় থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের দিয়াজ হত্যার মতো অমীমাংসিত ঘটনার বোঝা নিয়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। তিন দশকের এই রক্তাক্ত ইতিহাস পেরিয়ে এবার শিক্ষার্থীরা চাইছেন সহিংসতামুক্ত নতুন সূচনা।