প্রতিবেদক, প্রকাশিত: শুক্রবার , ৩ জানুয়ারী , ২০২৫
৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া প্রার্থীরা নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে থেকে তারা সচিবালয়ে গিয়ে বাদ পড়ার কারণ জানতে চান। প্রজ্ঞাপনে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছেন। দুপুরে প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও তার দেখা না পেয়ে ফিরে এসেছে।
এই বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডারের ২ হাজার ১৬৩ পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি।
মৌখিক পরীক্ষার পর সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগে গত ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাতে প্রথম প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ে ১৬৮ জন।
দুই প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া ২৬৭ জনের মধ্যে প্রায় দুইশ জন বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
বাদ পড়া প্রার্থীদের একজন বলেন, “প্রথম প্রজ্ঞাপনে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন প্রজ্ঞাপনে নাম নেই। কেন নেই আমরা জানি না।”
প্রথম প্রজ্ঞাপনে সমবায় ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া বেসরকারি আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ তাসনিমও হাজির হয়েছেন সচিবালয়ের সমানে।
তিনি বলেন, “কেন বাদ পড়েছি তা জানতে সচিবালয়ের ফটকে অবস্থান করছি। প্রতিনিধি দল ভেতরে গিয়েছিল স্যারদের সঙ্গে কথা বলতে।”
দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া প্রশাসন ক্যাডারের প্রার্থী আরিফ বুয়েট থেকে পাস করে বর্তমানে একটি ক্যাডারে চাকরি করছেন। বাদ পড়াদের প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে গিয়েছিলেন।
ফিরে এসে তিনি ক্যাম্পাস মিররকে বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয় নেই। তাই আমাদের আবেদনটাও রিসিভ করা হয়নি। বলা হচ্ছে সিনিয়র সচিবের সম্মতি ছাড়া আমাদের আবেদন নেওয়া হবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি।”
ঢাবি শিক্ষার্থী গোপা বিশ্বাস ক্যাম্পাস মিররকে বলেন, কেন বাদ পড়লাম বুঝলাম না। ছাত্রলীগও করি না। তিন বছর আগে ফ্যাকাল্টির একটা কমিটিতে নাম ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আমি তো রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম না।
গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, যাতে অংশ নিতে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জনের আবেদন জমা পড়ে। কোভিড মহামারির মধ্যে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন।
এরপর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।