প্রতিবেদক, প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার , ২ জানুয়ারী , ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে শিক্ষাক্রমে নানান পরিবর্তন শেষ পর্যায়ে এসে পৃথক বিভাগ তুলে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক থেকেই একক বিভাগে পড়াশোনা শুরু হয়েছিল।
গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে আসা অধ্যাপক ইউনূস নেতৃত্বাধিন সরকার অন্যান্য সংস্কারের মতো আলোচিত ও বিতর্কিত একক বিভাগ পদ্ধতি বাদ দিয়ে পৃথক বিভাগ পদ্ধতি ফিরিয়ে এনেছে।
অবশ্য মাধ্যমিকে পৃথক বিভাগের চেয়ে সম্মিলিত বিভাগে পড়াশোনা বেশি ভালো বলে মনে করছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পৃথক বিভাগ নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞান আবশ্যিক রেখে অন্যান্য বিষয় ঐচ্ছিক করে দেওয়া হবে পরবর্তী লক্ষ্য। এতে মানবিক শাখায় যে আছে, সেও ইচ্ছা করলে বিজ্ঞান নিতে পারে যাতে ভবিষ্যতে সে যেকোনো কিছু হতে পারবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। ২০২৪ সাল থেকে পৃথক বিভাগ উঠিয়ে দিয়ে নবম শ্রেণিতে ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। ওই শিক্ষাক্রম নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে তুমুল সমালোচনা ছিল, যার একটি অংশ বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে।
নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান চলার মধ্যে গত ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হলে নতুন সরকার আওয়ামী লীগের অনেক নিয়ম পদ্ধতি স্থগিত করে দেয়; শিক্ষাক্রমও তার মধ্যে একটি।
পরে ১ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রম ‘বাস্তবায়ন যোগ্য নয়’ ঘোষণা করে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে আনার বার্তা দেয় সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার ঘোষণাও দেয়।
সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে বিভাগ-বিভাজন ফিরেছে। বিভাজন ছাড়া যেসব শিক্ষার্থী সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালে নবম শ্রেণিতে পড়েছিলেন তারাও নতুন বছরে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বিভাজিত হয়ে দশম শ্রেণিতে পড়বেন।