প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: সোমবার , ১৩ অক্টোবর , ২০২৫
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার (১১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত ‘এমইএস ভবন নম্বর-৫৪’-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তিনটি মামলায় ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গত ৮ অক্টোবর এ পরোয়ানা জারি হয় এবং একই দিন ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
পরদিন শনিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে—এর মধ্যে ১৪ জন কর্মরত কর্মকর্তা এবং একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।
সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী চাইছে এসব আসামিকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতেই রাখতে। নির্ধারিত তারিখে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে এবং কার্যক্রম শেষে আবার সেনা হেফাজতে ফেরত নেওয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের ভবনটিকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেখানে কাদের রাখা হবে, তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি।
আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সরকার চাইলে যেকোনো ভবনকে ‘সাবজেল’ বা উপকারাগার ঘোষণা করে সেখানে মামলার আসামিদের রাখা যেতে পারে।
এর আগে ২০০৭-০৮ সালের এক-এগারো সরকারের সময়ও এমন নজির ছিল—তখন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে সংসদ ভবন এলাকার দুটি বাড়িতে সাবজেল ঘোষণা করে রাখা হয়েছিল।