প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বুধবার , ৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
নতুন বছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিবিএস।
আগামী তিন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে এবং সেটা ৫ থেকে ৬ সংখ্যার একটি আদর্শ জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
চার মাস পর সাধারণ মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে এক অঙ্কের ঘরে। সেই সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে, তবে এখনও রয়ে গেছে দুই অঙ্কের ঘরে।
নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে সামান্য কমলেও দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি নিয়েই ২০২৪ শেষ করেছিল বাংলাদেশ; ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে এই সূচক আরো কিছুটা কমেছে, তবে আগের বছরের জানুয়ারির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশিই রয়ে গেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে শীত মৌসুমে সবজির বাজারের স্বস্তি আর খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমে আসার প্রবণতা।
জানুয়ারিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে; যা এর আগের মাস ডিসেম্বরে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল।
তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। জানুয়ারিতে এ খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা একমাস আগেও ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ ছিল।
শহরের চেয়ে গ্রামে বেশিই রয়ে গেছে
জানুয়ারিতে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
আর শহর এলাকায় ডিসেম্বরের সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে জানুয়ারিতে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়।
আগামী মে মাস নাগাদ মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “রোজার সময় একটা মেজর পরিকল্পনা নেব। সেটার ফলটা এপ্রিল-মে মাসের দিকে পাওয়া যাবে।
“জুন মাসের দিকে যেটাকে আপনার আইডিয়াল সিচুয়েশন বলছেন, ৬ কিংবা ৭ শতাংশের দিকে যেতে পারে। আমার পক্ষ থেকে বলছি, মার্চের দিকে কতগুলো স্পেসিফিক অ্যাকশন দেখবেন; বিশেষ করে আর্থিক খাতকে সামনে রেখে।”
নানা কারণে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে গিয়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ঠেকে, যা অগাস্টে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছিল। সেপ্টেম্বরে তা আরও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়ায়।
এরপর ২ দশমিক ০৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে অক্টোবরে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। পরের মাসে দশমিক ৫১ শতাংশ পয়েন্ট আরও বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট আরও বাড়ে।